বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
হিজলা প্রতিনিধি : চলতি বছরের ২৬ মে দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড় রিমালের মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়। ঘুর্ণিঝড়ের এমন সতর্ক সংকেত জারির অনেক আগেই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বরিশালের হিজলা উপজেলা প্রশাসন।
প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ৫৭টি সাইক্লোন শেল্টার। মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে হিজলা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে। নদীর তীরে বসবাসরত মানুষের কাছে গিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণের জন্য পরামর্শও প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জাহাঙ্গীর হোসেন।
আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা মানুষের জন্য শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ঘুর্ণিঝড় রিমাল তার তান্ডব বেশি চালিয়েছে পরের দিন। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও দুর্গত মানুষের খোঁজ নিতে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ মাহমুদ দিপু সিকদারকে।
ঘুর্ণিঝড়ে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্যোগ কবলিত ইউনিয়ন গুলোতে দুর্গত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯হাজার ৫শত জন। আংশিক বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা ১২৬টি। এছাড়া উপজেলায় মৎস্য, কৃষি, সড়কসহ অন্যান্য ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫কোটি টাকারও বেশি। বিদ্যুৎ বিপর্যয় ও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে বিলম্ব হচ্ছে।
তবে সবকিছু স্বাভাবিক হলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি আরও জানান, সব গুলো ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণের কাছে সরকারি বরাদ্দ দ্রুত পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তবে উপজেলা খাদ্য গুদামে চাল মজুদ না থাকায় দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ সহায়তা প্রদানে ভীষণভাবে ব্যহত হচ্ছে।
Leave a Reply